ইফতারের ফজিলত
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ইফতারের ফজিলত
হাদিসে পাকে ইফতারের এই আনন্দ আর প্রতীক্ষার কথাই গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে। নবীজী (সা.)বলেছেন-ইফতারের সময় কোনো দোয়া বাতিল করা হয় না। ইফতারের সময় দোয়া খুব তাড়াতাড়ি কবুল হয়।
এ হাদিসটি এ কথাই প্রমাণ করে- ইফতারের সময় বাজে কাজকর্মে লিপ্ত না হয়ে ইফতার সাজিয়ে বসে থাকা এবং দোয়া-দুরুদ পড়তে থাকা রোজাদারের জন্য অবশ্য কর্তব্য। তিরমিজি শরিফের একটি হাদিসে বলা হয়েছে-রাসূল (সা. বলেছেন-রমজানের প্রত্যেক রাতে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বহু জাহান্নামিকে মুক্তি দেন।
অন্যকে ইফতার করানো ব্যাপারেও হাদিসে পাকে এসেছে সওয়াবের কথা। আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল (সা.)বলেছেন-তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে তার পূর্ণ সওয়াব পাবে। যদিও ইফতারটি হয় একটি খেজুর কিংবা একগ্লাস পানির দ্বারা।
হাদিসের এই বাণী সব মুসলমানের কাছেই অত্যধিক গুরুত্ববহ। তাই সবাই চেষ্টা করে সাধ্যমত অন্যকে ইফতার করানোর। আত্মীয়কে দাওয়াত করে একবার হলে ও যেন আমার বাসায় ইফতার করা হয়। এছাড়াও কাজের খাতিরে কর্মজীবীকে অনেক সময় বাইরে ইফতার করতে হয়। এ সময় রাস্তা কিংবা দোকানের আশপাশে প্রতিটি ইফতার আসনেই দেখা যায় ভ্রাতৃত্বের এক বিশাল বন্ধন। কেউ দৌড়ে এসে খালি হাতেই শরিক হচ্ছেন এসবে। কেউবা সামান্য মুড়ি বা পেঁয়াজু নিয়ে। আশ্চর্য হলেও সত্য!এসময় কেউ কাউকে নিজের সঙ্গে বসতে নিষেধ করেন না। সাদরে টেনে নেন কাছে। বসিয়ে দেন ভালো আসনে।
রমজানে মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোতে ও চলে ইফতার খাওয়ানোর আয়োজন। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক আয়োজিত হয়ে থাকে ইফতার। আইটেমও থাকে বহুবিধ। খেজুর, মুড়ি, বুট, জিলাপি থেকে শুরু করে নানা পদের শরবত এবং খিচুরি-পায়েশ উল্লেখযোগ্য। মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার ইফতার গুলোতে দেখা যায় বিরল এক পরিবেশ। ধনী-গরিব,ফকির-মিসকিন সবাই এক কাতারে একই প্লেটে ইফতার খাচ্ছেন। একই গ্লাসে পানি পান করছেন। মজার ব্যাপার হলো- এতে কেউ বিরক্ত নন। বরং মহাখুশি। মুখে মুখে ক্লান্তি নয়,থাকে আনন্দের ঝলকানি। বিশ্বের সব রোজাদারের মুখেই থাকে এ আনন্দের আবেশ। শিশু-কিশোরদেরও সারা দিনের কষ্ট-শিষ্টে রোজা রাখার ক্লান্তি দূর হয়ে যায় একগ্লাস শরবত পানে। এ আনন্দ, বেহেশতি আবহ কেবলই রোজাদারের।
হাদিসে ইফতারের সময় পাঠ করার বেশ কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দোয়া হলো-
ক.হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)বলেন, নবী করিম (সা.)যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْنَا وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْنَا فَتَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা লাকা সুমনা ওয়া আলা রিজকিকা আফতারনা। ফাতাকাব্বাল মিন্না। ইন্নাকা আনতাস্ সামিউল আলিম।
অর্থ :হে আল্লাহ!তোমাকে সন্তুষ্ট করার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার দেয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করেছি। অতএব,এ রোজা ও ইফতার তুমি কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সব কিছু শোন ও জান।
খ.ইবনে উমর (রা.)বলেন,নবী (সা.)যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
উচ্চারণ :যাহাবায যমা-উ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ :পিপাসা মিটেছে,শিরাগুলো সতেজ হয়েছে। আল্লাহ চাহে তো সওয়াবও লেখা হয়েছে।
ইফতারের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত দোয়া হলো-
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلى رِزْقِكَ أفْطَرْتُ
উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।
অর্থ :হে আল্লাহ!একমাত্র তোমার জন্যই রোজা রেখেছে এবং তোমার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।
রোযাদারকে ইফতার করানোর ফযিলত
জায়েদ ইব্ন খালেদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَن فَطَّرَ صَائماً كَانَ له مِثْلُ أَجْرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لا يَنقُصُ مِن أَجْرِ الصَّائِمِ شَيئاً
অর্থ :-যে রোযাদারকে ইফতার করাল, তার রোযাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে,তবে রোযাদারের নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না
অপর বর্ণনায় আছে
ﻣَﻦْ ﻓَﻄَّﺮ ﺻَﺎﺋﻤﺎً ﺃَﻃﻌَﻤَﻪُ ﻭﺳَﻘَﺎﻩُ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻣِﻦْ ﻏَﻴْﺮِ ﺃَﻥْ ﻳَﻨﻘُﺺَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﺷَﻲﺀ
অর্থ :-যে রোযাদারকে ইফতার করাল,তাকে পানাহার করাল,তার রোযাদারের সমান সওয়াব হবে,তবে তার নেকি থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না
শিক্ষা ও মাসায়েল
১. আল্লাহ তা‘আলার অসীম অনুগ্রহ যে, তিনি কল্যাণের নানা ক্ষেত্র উন্মুক্ত করেছেন। যেমন তিনি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার আহ্বান জানিয়ে মহান সওয়াবের ঘোষণা দিয়েছেন।
২. রোযাদারকে ইফতার করানো একটি ফযিলতপূর্ণ আমল,যে রোযাদারকে ইফতার করাবে সে তার ন্যায় নেকি লাভ করবে।
৩. রোযাদারকে ইফতার করালে তার বদলা আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে প্রদান করেন, রোযাদারের পক্ষ থেকে নয়।অতএব রোযাদারের সামান্য নেকি হ্রাস হবে না, এটা আল্লাহর
দয়া ও অনুগ্রহেরআলামত।
৪.এ থেকে বুঝা যায় ইফতারের দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ,বুজুর্গি দেখিয়ে বা নেকি কমার আশঙ্কায় তা প্রত্যাখ্যান করা বাড়াবাড়ি। কারণ অপরের নিকট ইফতার করলে রোযাদারের পুণ্য কমে না।তবে শুধু মিসকিনদের জন্য ইফতারের দাওয়াত হলে,সেখানে ধনীদের যাওয়া ঠিক নয়।
৫.আত্মীয়দের সঙ্গে সদাচার ও তাদের খুশির জন্য দাওয়াতে সাড়া দেয়া ও ইফতার করা বৈধ, যেন তাদের পুণ্য হাসিল হয়, যেমন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু করেছেন।
৬.যে ইফতার করাবে,সে নেকি ও অপরের প্রতি ইহসানের নিয়ত করবে,বিশেষ করে
রোযাদার যদি গরিব হয়।
৭.রোযাদারকে বাসায় নিয়ে আপ্যায়ন করা,বা খাবার প্রস্তুত করে তার জন্য পাঠিয়ে দেয়া ইফতার করানোর শামিল,তবে অপচয় না করা,বিশেষ করে রকমারি ইফতারের এ যুগে।
৮. কেউ যদি গরিবকে টাকা দেয়,যার কিছু দিয়ে সে ইফতার করল,বাকিটা সংগ্রহে রেখে দিল,বাহ্যত তা ইফতার করানোর হাদিসের অন্তর্ভুক্ত হবে,অধিকন্তু সে আর্থিকভাবে উপকৃত হল।
এ হাদিসটি এ কথাই প্রমাণ করে- ইফতারের সময় বাজে কাজকর্মে লিপ্ত না হয়ে ইফতার সাজিয়ে বসে থাকা এবং দোয়া-দুরুদ পড়তে থাকা রোজাদারের জন্য অবশ্য কর্তব্য। তিরমিজি শরিফের একটি হাদিসে বলা হয়েছে-রাসূল (সা. বলেছেন-রমজানের প্রত্যেক রাতে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বহু জাহান্নামিকে মুক্তি দেন।
অন্যকে ইফতার করানো ব্যাপারেও হাদিসে পাকে এসেছে সওয়াবের কথা। আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল (সা.)বলেছেন-তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে তার পূর্ণ সওয়াব পাবে। যদিও ইফতারটি হয় একটি খেজুর কিংবা একগ্লাস পানির দ্বারা।
হাদিসের এই বাণী সব মুসলমানের কাছেই অত্যধিক গুরুত্ববহ। তাই সবাই চেষ্টা করে সাধ্যমত অন্যকে ইফতার করানোর। আত্মীয়কে দাওয়াত করে একবার হলে ও যেন আমার বাসায় ইফতার করা হয়। এছাড়াও কাজের খাতিরে কর্মজীবীকে অনেক সময় বাইরে ইফতার করতে হয়। এ সময় রাস্তা কিংবা দোকানের আশপাশে প্রতিটি ইফতার আসনেই দেখা যায় ভ্রাতৃত্বের এক বিশাল বন্ধন। কেউ দৌড়ে এসে খালি হাতেই শরিক হচ্ছেন এসবে। কেউবা সামান্য মুড়ি বা পেঁয়াজু নিয়ে। আশ্চর্য হলেও সত্য!এসময় কেউ কাউকে নিজের সঙ্গে বসতে নিষেধ করেন না। সাদরে টেনে নেন কাছে। বসিয়ে দেন ভালো আসনে।
রমজানে মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোতে ও চলে ইফতার খাওয়ানোর আয়োজন। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক আয়োজিত হয়ে থাকে ইফতার। আইটেমও থাকে বহুবিধ। খেজুর, মুড়ি, বুট, জিলাপি থেকে শুরু করে নানা পদের শরবত এবং খিচুরি-পায়েশ উল্লেখযোগ্য। মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার ইফতার গুলোতে দেখা যায় বিরল এক পরিবেশ। ধনী-গরিব,ফকির-মিসকিন সবাই এক কাতারে একই প্লেটে ইফতার খাচ্ছেন। একই গ্লাসে পানি পান করছেন। মজার ব্যাপার হলো- এতে কেউ বিরক্ত নন। বরং মহাখুশি। মুখে মুখে ক্লান্তি নয়,থাকে আনন্দের ঝলকানি। বিশ্বের সব রোজাদারের মুখেই থাকে এ আনন্দের আবেশ। শিশু-কিশোরদেরও সারা দিনের কষ্ট-শিষ্টে রোজা রাখার ক্লান্তি দূর হয়ে যায় একগ্লাস শরবত পানে। এ আনন্দ, বেহেশতি আবহ কেবলই রোজাদারের।
হাদিসে ইফতারের সময় পাঠ করার বেশ কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দোয়া হলো-
ক.হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)বলেন, নবী করিম (সা.)যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْنَا وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْنَا فَتَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা লাকা সুমনা ওয়া আলা রিজকিকা আফতারনা। ফাতাকাব্বাল মিন্না। ইন্নাকা আনতাস্ সামিউল আলিম।
অর্থ :হে আল্লাহ!তোমাকে সন্তুষ্ট করার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার দেয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করেছি। অতএব,এ রোজা ও ইফতার তুমি কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সব কিছু শোন ও জান।
খ.ইবনে উমর (রা.)বলেন,নবী (সা.)যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
উচ্চারণ :যাহাবায যমা-উ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ :পিপাসা মিটেছে,শিরাগুলো সতেজ হয়েছে। আল্লাহ চাহে তো সওয়াবও লেখা হয়েছে।
ইফতারের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত দোয়া হলো-
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلى رِزْقِكَ أفْطَرْتُ
উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।
অর্থ :হে আল্লাহ!একমাত্র তোমার জন্যই রোজা রেখেছে এবং তোমার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।
রোযাদারকে ইফতার করানোর ফযিলত
জায়েদ ইব্ন খালেদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَن فَطَّرَ صَائماً كَانَ له مِثْلُ أَجْرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لا يَنقُصُ مِن أَجْرِ الصَّائِمِ شَيئاً
অর্থ :-যে রোযাদারকে ইফতার করাল, তার রোযাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে,তবে রোযাদারের নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না
অপর বর্ণনায় আছে
ﻣَﻦْ ﻓَﻄَّﺮ ﺻَﺎﺋﻤﺎً ﺃَﻃﻌَﻤَﻪُ ﻭﺳَﻘَﺎﻩُ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻣِﻦْ ﻏَﻴْﺮِ ﺃَﻥْ ﻳَﻨﻘُﺺَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﺷَﻲﺀ
অর্থ :-যে রোযাদারকে ইফতার করাল,তাকে পানাহার করাল,তার রোযাদারের সমান সওয়াব হবে,তবে তার নেকি থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না
শিক্ষা ও মাসায়েল
১. আল্লাহ তা‘আলার অসীম অনুগ্রহ যে, তিনি কল্যাণের নানা ক্ষেত্র উন্মুক্ত করেছেন। যেমন তিনি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার আহ্বান জানিয়ে মহান সওয়াবের ঘোষণা দিয়েছেন।
২. রোযাদারকে ইফতার করানো একটি ফযিলতপূর্ণ আমল,যে রোযাদারকে ইফতার করাবে সে তার ন্যায় নেকি লাভ করবে।
৩. রোযাদারকে ইফতার করালে তার বদলা আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে প্রদান করেন, রোযাদারের পক্ষ থেকে নয়।অতএব রোযাদারের সামান্য নেকি হ্রাস হবে না, এটা আল্লাহর
দয়া ও অনুগ্রহেরআলামত।
৪.এ থেকে বুঝা যায় ইফতারের দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ,বুজুর্গি দেখিয়ে বা নেকি কমার আশঙ্কায় তা প্রত্যাখ্যান করা বাড়াবাড়ি। কারণ অপরের নিকট ইফতার করলে রোযাদারের পুণ্য কমে না।তবে শুধু মিসকিনদের জন্য ইফতারের দাওয়াত হলে,সেখানে ধনীদের যাওয়া ঠিক নয়।
৫.আত্মীয়দের সঙ্গে সদাচার ও তাদের খুশির জন্য দাওয়াতে সাড়া দেয়া ও ইফতার করা বৈধ, যেন তাদের পুণ্য হাসিল হয়, যেমন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু করেছেন।
৬.যে ইফতার করাবে,সে নেকি ও অপরের প্রতি ইহসানের নিয়ত করবে,বিশেষ করে
রোযাদার যদি গরিব হয়।
৭.রোযাদারকে বাসায় নিয়ে আপ্যায়ন করা,বা খাবার প্রস্তুত করে তার জন্য পাঠিয়ে দেয়া ইফতার করানোর শামিল,তবে অপচয় না করা,বিশেষ করে রকমারি ইফতারের এ যুগে।
৮. কেউ যদি গরিবকে টাকা দেয়,যার কিছু দিয়ে সে ইফতার করল,বাকিটা সংগ্রহে রেখে দিল,বাহ্যত তা ইফতার করানোর হাদিসের অন্তর্ভুক্ত হবে,অধিকন্তু সে আর্থিকভাবে উপকৃত হল।
Comments
Post a Comment