রোযা ভঙ্গের কারন
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
রোযা ভঙ্গের কারন
যে-সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় এবং শুধু ক্বাযা ওয়াজিব হয় ।নিম্নলিখিত কারণসমূহে রোযা ভঙ্গ হয় এবং তার জন্য শুধু ক্বাযা আদায় করতে হবে,কাফফারা দিতে হবে না।
রোযা ভঙ্গের কারন-সমূহ
১.ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে।
২.কোন অখাদ্য বস্তু তথা পাথর,লোহার টুকরো,ফলের আঁটি ইত্যাদি গিলে ফেললে।
৩.জোরপূর্বক রোযাদারকে কিছু খাওয়ানো হলে।না পড়ে।
৪.ভুলক্রমে কিছু খেতে আরম্ভ করে রোযা ভঙ্গ হয়েছে মনে করে পুনরায় আহার করলে।
৫.কুলি করার সময় পেটে পানি চলে গেলে।
৬.প্রস্রাব -পায়খানার রাস্তায় ওষুধ বা অন্য কিছু প্রবেশ করালে।
৭.রাত মনে করে ছুবহি ছাদিক্বের পর পানাহার করলে।
৮.সন্ধ্যা মনে করে সূর্যাস্তের পূর্বেই ইফতার করলে।
৯.মুখে বমি এনে পুনরায় তা পেটে প্রবেশ করালে।
১০.দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্য কণা বের করে খেয়ে ফেললে।
১১.রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন, ইনসুলিন ইত্যাদি ব্যবহার করলে।
১২.শরীরের কোন ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগানোর ফলে তা ভেতরে প্রবেশ করলে।
১৩. নাকে বা কানে তেল বা তরল ওষুধ প্রবেশ করালে।
১৪.আগরবাতির ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে।
১৫.রোযা রেখে পেস্ট,কয়লা,পাউডার,ছাই ইত্যাদি যে কোন প্রকার মাজন দ্বারা দাঁত মাজা মাকরূহ। এগুলোর সামান্য অংশও যদি গলায় প্রবেশ করে তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এছাড়া সর্বাবস্থায় গুল ব্যবহার করা হারাম। কারণ গুল মাদকদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত।
১৬.রাত্রি বাকি আছে মনে করে ছুবহি ছাদিক্বের পর পানাহার করলে বা নির্জনবাস করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
১৭.সহবাস- কোনো ব্যক্তি যদি রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয়। তাহলে তার বীর্যপাত হোক আর নাই হোক; তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
১৮.সঙ্গম ব্যতিত অন্য পন্থায় বীর্যপাত- সহবাস ব্যতিত অন্যপন্থায় যদি কোনো রোজাদার যৌনস্বাদ নেয়ার জন্য স্পর্শকাতর কোনো যুবতী যৌবনা নারী সংস্পর্শে আসে; তাকে চুম্বন করে; জড়িয়ে ধরে অথবা হস্তমৈথুন করে ইত্যাদির মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটায় তবে তার রোজা ভেঙে যাবে।
যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় এবং ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়।নিম্নলিখিত কাজসমূহ দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব হয়। যথা:-
যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় এবং ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়।নিম্নলিখিত কাজসমূহ দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব হয়। যথা:-
১.ইচ্ছাকৃত নির্জনবাস করলে।
২.স্বেচ্ছায় পানাহার করলে।
৩.স্বেচ্ছায় ওষুধ পান করলে।
৪.শিঙ্গা লাগানোর পর রোযা নষ্ট হয়েছে মনে করে পানাহার করলে।
৫.ধূমপান করলে।
কাফ-ফারা আদায় করার নিয়ম
কাফফারা হচ্ছে দু’মাস ধারাবাহিক রোযা রাখা অথবা ৬০ জন মিসকীনকে দু’বেলা তৃপ্তিসহকারে খাদ্য খাওয়ানো অথবা কোন গোলাম আযাদ করা।
Comments
Post a Comment