নামাজের তাসবিহ (ছানা, রুকু ও সিজদাহ)
নামাজের তাসবিহ (ছানা, রুকু ও সিজদাহ)
★★★ কি বলছি, কি করছি তা কিছুই জানি না। অধিকাংশ মানুষই নামাজে যে সুরা সমুহ ও তাসবিহ গুলো পড়ছে তার অর্থ জানেনা। যার কারনে নামাজে অমনযোগী হয়। মনে হয় যে তোতা পাখির মত শুধু বলেই যাচ্ছি, কিন্তু কি বলছি কিছুই জানি না, তাহলে নামাজের মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয়, শ্রদ্ধা, ভয়, আত্ম-সমর্পন আসবে কিভাবে?
অথচ আল্লাহ সুবহানাতা’আলা বলেছেন
“ধবংস ওই নামাজি যে তার নামাজ সম্পর্কে বেখবর।”
“ধবংস ওই নামাজি যে তার নামাজ সম্পর্কে বেখবর।”
নামাজে মনোযোগ আনতে হলে অবশ্যই নামাজে কি কি করছি তার অর্থ ভাল ভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। অর্থ যদি জানা থাকে এবং তা লক্ষ্য করে নামায আদায় করি, তাহলে আমাদের নামায আরো সুন্দর হবে।
নিয়তঃ
“আমি কিবলামুখি হয়ে (ফজর /যোহর/আসরের ………) দুই/তিন/চার রাকাত ফরয/ওয়াজিব/সুন্নত/নফল আদায়ের উদ্দেশ্য নিয়ত করলাম” তারপর “আল্লাহু আকবার”(আল্লাহ মহান) বলে দুহাত বাধতে হবে। - শুরু হয়ে গেল নামাজ।
ছানাঃ
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা(সমস্ত প্রশংসা পবিত্র আল্লাহ’র জন্য) ওয়াতাবারা কাসমুকা(তোমার নাম বরকতময়) ওয়াতা আলা জাদ্দুকা(তুমি মহান মর্যাদার অধিকারি) ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা (তুমি ব্যতিত অন্য কোন উপাস্য নেই)।
তাআ’উযঃ
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম (আল্লাহ’র কাছে পানাহ চাচ্ছি বিতারিত শয়তান থেকে)
তাসমিয়াঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম(পরম করুনাময় আল্লাহ’র নামে শুরু করছি)
তারপর সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে পরতে হবে। “আল্লাহু আকবার” বলে রুকুতে যাবে।
তারপর সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে পরতে হবে। “আল্লাহু আকবার” বলে রুকুতে যাবে।
রুকু’র তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম (আমার মহান মর্যাদাশীল প্রভুর পবিত্রতা বর্ননা করছি)/( ‘আমার মহান প্রভু সকল দোষ – ত্রুটি থেকে পবিত্র।’)
রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তাসমি পাঠ করবে।
রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তাসমি পাঠ করবে।
তাসমিঃ
সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ (যে আল্লাহ’র প্রশংসা করে তিনি তা শোনেন)
তারপর
তারপর
তাহমিদঃ
রাব্বানা লাকাল হামদ(সকল প্রশংসা আল্লাহ’র জন্য)
তারপর সিজদা। সিজদার সময় পরিপুর্ন ভাবে খেয়াল রাখবে যে, আমি আল্লাহ’র কাছে পুর্নভাবে আত্মসমর্পন করছি।
তারপর সিজদা। সিজদার সময় পরিপুর্ন ভাবে খেয়াল রাখবে যে, আমি আল্লাহ’র কাছে পুর্নভাবে আত্মসমর্পন করছি।
সিজদার তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা (আমার শ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ননা করছি)
দুই সাজদার মধ্যবর্তী
দুই সাজদার মধ্যবর্তী
দু’আ: আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী
অর্থ : ‘আয় আল্লাহ ! আমাকে মাফ করে দাও, আমার প্রতি দয়া করো, আমাকে সঠিক পথে চালাও, আমাকে সুস্থ রাখো এবং আমাকে জীবিকা দান করো।’
এভাবে নামাজের দু’রাকাত শেষে তাশাহুদ এবং চার রাকাত শেষে তাশাহুদের সাথে দুরুদ শরিফ ও দুয়া মাছুরা পরতে হয়।
Comments
Post a Comment