সূরা 'আছর এর আরবি, বাংলা উচ্চারণ, বাংলা অর্থ এবং তাফসীর

সূরা 'আছর এর আরবি, বাংলা উচ্চারণ, বাংলা অর্থ এবং তাফসীর 


আরবি উচ্চারন বাংলায় অনেক সময় ভুল থাকে।তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি, যখন বাংলায় উচ্চারন শিখবেন তখন অবশ্যই আরবির সাথে মিলিয়ে নিবেন। আর যদি কেউ আরবি দেখে পড়তে না পারেন তাহলে অবশ্যই অডিও শোনে বাংলার সাথে মিলিয়ে নিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
وَ الۡعَصۡرِ ۙ﴿۱﴾ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ﴿۲﴾ اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ ٪﴿۳﴾

বাংলা উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
অল 'আছরি ইন্নাল ইনসানা লাফী খুসরিন ইল্লাল্লাযীনা আ-মানু ওয়া 'আমিলুছ ছোয়া-লিহাতি অতাওয়া ছোয়াওবিল হাক্বকি অতাওয়া ছোয়াওবিছ ছায়াবর।

বাংলা অর্থঃ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
কালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে, ঐ সকল লোক ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে, নেক কাজ করে, এবং একে অন্যকে সত্যের উপদেশ প্রদান করতে থাকে ও একে অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ প্রদান করে।

তাফসীরঃ

আয়াতঃ ১
‘আল আছর’ এর অর্থ দ্বিবিধ হতে পারে : ১) মহাকাল – যা আদি অনন্ত কাল ব্যপী। সেক্ষেত্রে ‘দাহর’ দ্বারা যে বিমূর্ত ভাবকে বোঝানো হয় তাকেই বুঝায়। ২) অথবা এর দ্বারা আসরের সালাতের সময়কে বুঝানো হয়েছে ।

সময়ের প্রতি আবেদন করা হয়েছে। সময় আল্লাহ্‌র এক অত্যাচার্য সৃষ্টি। এ সম্বন্ধে সকলেরই ধারণা আছে, তবে কেহই সময়কে সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করতে পারে না। পার্থিব সকল কিছুকে ‘সময়’ ধ্বংস করে দেয়। সময়ের গর্ভে ইতিহাস বিলিন হয়। সময়ের গতির সাথে পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা মানুষের নাই।

আয়াতঃ ২
আসর অর্থাৎ অপরাহ্নের সালাতের সময়। যদি আমরা জীবনের উপমা দিই ব্যবসা বাণিজ্যের কর্মক্ষেত্র স্বরূপ তবেই এই আয়াতটি অর্থবহ হবে। যে মানুষ শুধুমাত্র তার পার্থিব বিষয় বস্তু সম্বন্ধে সতর্ক এবং জাগতিক লাভের জন্যই সবর্দা চেষ্টা করে থাকে সেই হচ্ছে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ। ব্যবসা বাণিজ্যের যেমন দিন শেষে অপরাহ্নে [ আসরের সময়ে ] হিসাব গ্রহণ করা হয়, ঠিক সেরূপ জীবনের শেষে অপরাহ্নে এ জীবনের হিসাব মিলানো কঠিন হবে। জীবনের শেষ হিসেবে লাভবান হতে পারতো যদি তাদের বিশ্বাস বা ঈমান থাকতো, আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য তারা পূত পবিত্র জীবন যাপন করতো, সৎকাজে নিজেকে নিয়োজিত করতো এবং অন্যকেও সৎ উপদেশ দিত।

আয়াতঃ ৩
তারাই জীবনের শেষ হিসেবের দিনে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না যারা বিশ্বাস বা ঈমান ও সৎকর্মকে বর্ম হিসেবে ধারণ করে থাকে পৃথিবীতে। এই বর্মই তাদের পার্থিব জীবনের ক্লেদাক্ত পরিবেশ থেকে রক্ষা করবে। তাঁর পূত, পবিত্র জীবনই হবে তার আধ্যাত্মিক জগতের উত্তরণের সিড়ি। লক্ষ্য করুণ ঈমান ও সৎকর্ম আত্মসংশোধনের সাথে সর্ম্পকিত।

Comments

  1. আলহামদুলিল্লাহ,,, ভালো লেগেছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. আসুন আমরা সবাই মিলে সময় মমূল্য দিয়ে চলি

      Delete

Post a Comment

Popular posts from this blog

সূরা আল ইখলাস

সূরা হুমাযাহ এর আরবি, বাংলা উচ্চারণ, বাংলা অর্থ এবং তাফসীর

সূরা ক্বদর এর আরবি, বাংলা উচ্চারণ, বাংলা অর্থ এবং তাফসীর